
আছো কেমন?
সেই আগের মতোই ?
নাকি সময়ের স্রোতে ভাসতে ভাসতে ফুল কুড়িয়েছো অঢেল?
কতগুলো বছর পেড়িয়ে
বহু নুড়ি পাথর কুড়িয়েছি যতনে
যাতনাও সয়েছি ,
সেটাই তো স্বাভাবিক যাপন।
আচ্ছা, তোমার ঘরে কি এখনো সব সাদা পর্দা ঝোলে ?
খোলা জানলা দিয়ে হালকা হওয়াতে শুভ্র পর্দা উড়তো
তড়ঙ্গের মতন।
যেন পাল তোলা নৌকো চলেছে হেলেদুলে।
মনে কি পরে সেই সব দিন ?
ক্যাসেট প্লেয়ারে মৃদু রবীন্দ্রসংগীত
সাথে কিছু জরুরী ,কিছু না জরুরী অযথা মৃদুভাষ।
যে যাই বলুক ,দিনগুলো ছিল অপরিশীমের।
বৃষ্টি ঝরতো অঝোরে যখন তখন
টিনের চালের সেই বর্ষার মধুর জলতরঙ্গ;
তোমার বাড়িতে কি এখনো টিনের চাল আছে ?
কখনো মাথায় ছাতা।
নিচে রাস্তায় ছলাৎছল।
তাতেই আমি জমা জলে পা ডুবিয়ে দিলে ,তুমি হতবাক।
কত দীর্ঘ দিন, দীর্ঘ পথ হেঁটে হেঁটে চলেছিলাম দোঁহে ;
কখনো ছিল নীরবতা ,কখনো বাচালতাতে তত্ত্ব কথা। তোমার ছিল
কাছে পেতে চাওয়ার দুর্লঙ্ঘ্য ও অতলতিয়াস
প্রত্যেকটাই দত্যের মতো চপেটাঘাত করে অবিরত। কামনায় মেটে কী প্রেমের পিপাসা ?
প্রেম পিপাসা মর্মভেদী সোহাগ জল লাগি ছিল আকুল।
চাবাগানের কাছেই যেদিন ধ্যাড়ধেড়ে বাসটা অচল হলো ,
কিছু মানুষ নেমে দাঁড়ালো ,
কিছু আবার বসেই রইলো।
আমরা কী করেছিলাম ?
মনে আছে?
নেমে এসে চাবাগানের সরু পথে চললাম উল্লাসে।
আচ্ছা ওই আইডিয়া তা কার ছিল? মনে আছে ?
আমার সবেতেই তর্ক আর নিয়ম ভাঙার প্রবণতাকে
প্রশ্রয় দিয়েছিলে অনায়াসেই।
ফ্রয়েড এর ভাষণে দিস্তা দিস্তা কাগজ লিখতে।
অনায়াসে রবীন্দ্র রচনাবলী নিয়ে
শব্দ নিয়ে , ব্যাকরণ নিয়ে চলত এলেবেলে ভাষণ।
জোনাকির আল্পনার মতো কিছু না বলা কথা
থেকেই যেত।
তুমি সারা রাত জেগে লিখতে আর ভোরের বেলা সেগুলো ছিঁড়তে;
অবশিষ্ট যদি কিছু পেতাম,
চেটেপুটে পড়তাম।
কী এতো লিখতে রাতের পর রাত
আর অবলীলাতে সমাধি ঘটাতে ?
আঁচ করতাম কিন্তু জানতামনা।
আজ ও জানিনা।