Friday, August 26, 2016

হাতাশা

নিদারুন এক রাশ হাতাশাতে
একা  থেকে দোকা হবার উল্লাসে উপচে পরে গ্লাস।
ভুলে যাওয়া নাম গুলোকে মনে করতে চেয়ে
হাতড়ে বেড়াই স্মৃতির চিলেকোঠা ;

ইচ্ছেঘুড়ি কখন কোথায় ওড়ে তা যায়না বোঝা
মরচে ধরা মগজে দেই  শান ,
চোদ্দ আনা বোথা মগজে ঢালি ওয়াইন।
বোকামি গুলো হামাগুড়ি দিয়ে দেয় হানা।

রসালো  ধারাস্রোতে  সিক্ত  মন
ঝাপসা দৃষ্টি;
আদর মেখে ছুঁয়ে থাকা নিরলস মমতা
আর স্নেহের পরশের  কামনা সারাক্ষন।

ক্ষুধা কি কেবল শহর জুড়ে ফুটপাথে?
বহুতলে কি শুধুই আয়েশ ?
আড়মোড়া  ভাঙতে ভাঙতে  ব্যালকনিতে বৃষ্টি  গেলো ছুঁয়ে
আমি নাজেহাল দিশাহারা স্বপ্নে ।

প্রতিশ্রুতি গড়িয়ে পরে
ধুয়ে যেতে থাকে চোখের সামনেই।
মাদকতার নগ্ন পর্দা, উন্মাদনার কোলাহল
সংকল্পের বনেদিয়ানা ছাড়িয়ে রসের উন্মেষ।

ঘুণে ধরা সম্পর্কগুলোতে পেস্টিসাইটের প্রলেপ
ভেঙ্গচি কাটে   পুরোনো স্বপ্নরা
অভিশাপের বান্ডেল বেরিয়ে আসে গুটি গুটি
এক মহাকাশ ভালোবাসা নিয়ে।

(২৬ জুলাই ২০১৬)

© Paramita Prajna. All Rights Reserved. Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited

চিলেকোঠা ওয়েবজিন: কবিতা - প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল

চিলেকোঠা ওয়েবজিন: কবিতা - প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল: অত্যাচারের আঁচড় প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল আমার ধমনীতে তোমার অত্যাচারের আঁচড়   আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার কথার চাবুকাঘাত ; চেতনার হ...


অত্যাচারের আঁচড়
প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল
আমার ধমনীতে তোমার অত্যাচারের আঁচড়
আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার কথার চাবুকাঘাত ;

 
চেতনার হাতেখড়ির বিপুল আয়োজন। 

বিধস্ত মনের গভীরে কুমীর খেলা করে 


সেখানে লিলি বা হা
সনুহানা বা পদ্ম থাকতে পারতো অনায়াসে ;
কিছু রঙিন মাছ খেলতে পারতো। 

কালশিটে রক্তের সমারোহ
 
একরাশ বিরহবিলাস,চরম পাওয়ার
অনুভূতিতে মশগুল। 

যে কোনো ভাবে, যে কোনো মুহূর্তেই
 মুক্ত হতে পারি, তবে কেন ?
এই ভাবেই প্রীত থাকা?


কতো না  যাতনা যত্নে আন্দোলিত করেছে হৃদয় ,
তনুখানি হাসিতে বাঁশিতে রেখেছি ভরে
 
সজীব হয়ে মধুর থাকি।


Tuesday, August 23, 2016

নির্যাতনের সাবেকিয়ানা

জীবনের গ্রীন রুমে নব রূপে প্রবেশ হঠাৎ
ফুটন্ত  জলের বুদ্ বুদ্ এর মতোই
উবে গেছে কতো কিছু ,
চায়ের জল ফুটতে ফুটতে যতটুকু কথা ,যতটুকু চেয়ে থাকা
কতগুলো বছর পেরিয়ে আজ সামনে।

দৃষ্টি ঝাপসা  -তবু  তুমি স্পষ্ট।
রোদ্দুরের উত্তাপ ,জোছনা বিলাস , বৃষ্টির আস্বাদ
সব জড়িয়ে আছে,
সুক্ষ কৌশলে লুকিয়ে রাখি কুলুঙ্গিতে ।
কজন পারে সেটা?

বলিরেখা ছাপিয়ে তোমার অভিজ্ঞাতার ঝোলা থেকে গড়িয়ে পরে
নির্যাতনের  সাবেকিয়ানার ইতিহাস।
ভেসেছি, ডুবেছি ,উঠেছি কতবার ,
বারবার মরুভূমির ক্যাকটাস এর মতো  বাঁচার লড়াই ;
অঙ্গুলিহেলনে আর খোয়া যেতে দেবোনা আত্মসম্মান।

আপোষের দরজা তে তালা
তোমার বর্ণমালা কি খুঁজছে নতুন মিল ?
ওই চাউনি ডরায়ে না , ভাবায় না , ভালোবাসায় না.
নির্বিকার আমায় টলায়ও না
আপসোস নেই , পরিচ্ছন্ন বাতাস আমার চারপাশে ,তুমি অস্তিত্ব বিহীন।

অত্যাচারে সংগোপনে ষোলো কলা পূর্ণতা পায়ে কী ?
দ্বিধার সাগরে ভূমিষ্ঠ আমার স্বত্বা ,
জড়তা মুক্ত। 
মুঠো মুঠো দুরছাই নিয়ে
এক জীবনে নতুন নতুন জন্ম।

"মেলবন্ধন"


Friday, August 12, 2016

জীবনের দরকষাকষির কোন্দলে

অসীম দূরত্ব ,
ভীত মন ,ভীত শরীর
তবুও তোমার মতো
আমার মতো  করে ভালোবাসা।

মরতে মরতে  না  মরা শুকনো  নদী
নুড়ি পাথরের ওপর ধীর গতিতে;
দেয়াল তুলে দেয়া সব ইন্দ্রিয়তে
ভেঙে চুড়মার  করি গোপনে।

কথা ছিল দেখা হবে, হয়নি ;
কথা ছিল কথাও হবে , হয়নি ;
বয়ে গেছে অনেকটা অসময়
জীবনের দরকষাকষির কোন্দলে।

ছন্দহীন অনুভব

কিছু স্থায়ী  বিষাদ কামড়ে  ধরেছিলো সব অনুভূতি।
অধিকার বোধ আর অপরাধ বোধ সব চুড়মার করে
মূক কিছু ছন্দহীন অনুভবে হৃদয়ে মোচড়।


আধফোটা ফুল ,
কুঁড়ি পূর্ণাবয়ব পেয়েছে কীট দংশন ছাড়াই
শান্তিতে ঘুমোনো  যন্ত্রনা গুলো নাড়া দিয়ে যায়। 

কলস কলস কল্পনা
হাইড্রার মতো জড়াতে আসে ধেয়ে
বস্তাপচা প্রতিশ্রুতির উটকো ঘ্রানে ইচ্ছেগুলো শুকিয়ে যায়।

সব ঘটনার কুঁড়ি কখন মহীরুহ হয়েও উঠতে পারে
ইচ্ছেঘুড়ি কখন কোথায় ওড়ে তা যায়না বোঝা
দ্বিধার সাগরে ভূমিষ্ঠ  প্রেমের সম্ভাষণ।

গৃহিনী বেশ্যা

সেকি তুমি ভোলোনি ?
নাকি ভুলতে পারনি?
নাকি ভুলতে চাওনি ?
অমিতো  বাধ সাধিনি কোনদিন  কখনো?

গঙ্গাজল না হোক ,
এন্টিসেপটিক দিয়ে ধুয়ে মুছে সাফ করার যোগ্যতা তো রয়েছে।
ছদ্দবেশী সুখ তোমার চারপাশে
সীকৃতি দাও। বীরপুরুষ।

নিঃস্ব বা হতাশ হবার ভয় ?
স্ত্রীকে জানো তুলোধনা করতে,
পরের স্ত্রীকে আপন করো। খেলা কারো।
সুখে মাতাল হও 'গৃহিনী বেশ্যা'   মহিলা দের সাথে।

স্বামী সন্তান নিয়ে
সুখের আস্তানা
অন্যের ঘর ভাঙার চূড়ান্ত কামনা ;
শরীরের খিদে মেটানো পরপুরুষের সৌজন্যে।

Tuesday, August 9, 2016

অক্ষরের ফুলঝুরি


না গাঁথা  অক্ষরের ঝুরি 
পপকর্ন এর মতো টগবগিয়ে ওঠে
সময়ে অসময়ে , আবার মিলিয়ে যায়
অগোছালো মনের জোয়ারে।

তুমি  আমি মিলেমিশে একাকার
ফুড়ুৎ করে উড়ে যাওয়া তো যেতেই পারে
কবিতা ঝরুক টুপ্ টাপ
মনটা হোক খোলা আকাশ।

মৌনতা বড্ডো কঠিন
চুরমার করে দিতে পারে ভালোবাসার নরম মনটাকেও ;
বের করে দিতে পারে রাজা কে রাজকোষ থেকে
আউলা বাউল করে দিতে পারে ঘোর  সংসারীকে ।


দিলখোলা লাগামছাড়া তুফানী মনটা বুদবুদ এর মতো স্বাদ নিতে চায়ে
তোমার আমার ভালোবাসা তে শাণ দিতে গিয়ে
অভিমানের অতল সাগরে ডুবুরিহই


হৃদয়ের কারসাজি আর কারচুপীতে 
অজানা থাকে অনেক কিছুই।




Bhalo thakar bikalpo nei, kharap tai thakte nei.........

জীবন সুধা করে পান , আনন্দে গ্রহণ করি সব দান ,
মিছি মিছি কেন আহা দুখকে অপবাদ দিয়ে কারো অপমান ?
সুখ পাখি ডানা ঝাপটে সদাই দায়ে জানান -- জীবনের দাম !
কষ্ট কে ঠেলবে যত দূরে , সে আসবে ধেয়ে ...
তাকেও দিয়ে সম্মান ,জীবনকে কে করি চলো আনন্দের বাগান


অনেক অনেক কথা

অনেক অনেক কথা
লিখব বলে এলাম চলে -অনেক অনেক কথা ...তোময়ে পেয়ে ভুলে গেলাম যত মনের ব্যথা ........

তুমি শুধু

তুমি শুধু
তুমি শুধু থেকো মোর মনের ঈশান কোণে.....সব কিছু তুচ্ছ করে ভালো বাসবো জীবনকে ...এলোমেলো জীবন আমি সাজবো প্রাণ ভরে ...বাঁচব আবার নতুন করে ,নতুন উদ্দমে..

Followers

Blog Archive

Powered By Blogger