Friday, October 27, 2017

ব্যাধি

১৬ অগাস্ট ২০১৭

‘ক্যারেক্টার এনালিসিসে ’
ব্যস্ত সবাই
নিজের নয় ,অন্যদের।

কিচ্ছুটি না-ভাবতে  পারলে
বেজায় অসুখের হয়ে পড়ে।

এস্রাজের মোহের মতো
নুপুরের ছন্দের মতো একের পর একেকজনের
ডিসেক্শন চলে,  কাঁচি  ছুরি  চলে অবিরাম।

ছুঁড়ে ছেনে,হৃদয়ে পুলক জাগায়;
ভুলে যায়  ঝরা বনে আরো কেউ কেউ
তাদের বাদাম কুড়োতে ব্যস্ত।

হেকিম ,বদ্যি ডেকে এই ব্যাধির হবেনা উপশম।

(প্রজ্ঞা পারমিতা )
© Paramita Prajna. All Rights Reserved. Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited

Wednesday, October 25, 2017

নতুন অধ্যায়


 এক ঝুড়ি বিষাদ নিয়ে বসলে  এসে গা এলিয়ে ,
যেন হৃদয় জুড়ে  খাচ্ছে  উঁই ;
এতো মেঘাচ্ছন্ন  মুখ বড্ডো বিরক্তিকর
আমার শাঁকচুন্নি হাসির আওয়াজে
আরো বিরক্তি ছেয়ে গেলো যেন।
বলি, হলোটা  কী ?
ক্ষতবিক্ষত? 
গড়ে দিলে কে ?  কি ভাবে?
বিষাদের, বিরক্তির ,অভিমানের ,দুঃখের আলপনা কখনো  হয় মনোরম।
ভালোবাসার মায়াপাশ কাটাও ;
ভুলচুকের কাহিনীগুলো বিসর্জন দেয়া যায়না?
ক্যারেক্টার এনালিসিস,মন এনালিসিস , মস্তিষ্কের চিন্তার এনালিসিস
ঊফফ চরম অসহ্য
উত্তাল সুনামি।
ধ্যাৎ।
ক্ষত কে পরিত্যক্ত করো  দক্ষতায়।
মনের  বিষাক্ত অসুখ সোজাসাপটা ভাবনার কোলাকুলিতে ভরিয়ে
ফোটাও  পারিজাত।
কণামাত্র কোঁদল নয়
চোখে  জ্বালা উঠুক ,বালিশ না ভেজে।
নিশ্চুপ থেকেই  উঠে দাঁড়ালে,
অপছন্দের হলো আমার বাচালতা। 
স্বপনের ঝড়, ছুঁড়ে ছেনে বিধস্ত তুমি ;
যেন পথটা গড়ে দিলে,
বাতলে দিলেই সা করে চলে যাবে, নতুন অধ্যায়ে ।

Saturday, October 14, 2017

ক্ষত কে নিয়ে যাপন


ক্ষত কে নিয়ে  যাপন
স্মৃতির  মুকুল দিয়ে ,অন্তরপল্লিতে ঘর বেঁধে অযুত নিযুত কত মানুষ যে গৃহ থেকেও ,সুন্দর সংসার করেও আজ অন্যের আশ্রয়ে জীবন কাটান। কাটাতে বাধ্য হন। মনের মণিকোঠাতে এখনো সেই অতীত  খেলা করে অবিরাম। কিছু দিন আগেই এক বৃদ্ধাশ্রমে ,ভরপুর ভালোবাসা পেয়ে মনের কোনাতে নিজেকেই ওখানে খুঁজে যাচ্ছিলাম।

দশ জনের দশ রকমের বিচিত্র কাহিনী। কারুর সাথেই কারুর কোনো মিল বা অতীত মেলেনা। অথচ সবাই সুন্দর ভাবে রয়েছেন অনেক শারীরিক অসুস্থতা সত্বেও। এনারা যে একে  অপরের সাথে থাকবেন , কল্পনাতেও  হয়তো ভাবেননি কখনো । জীবনের সায়াহ্নে নিজের আত্মজ  বা আত্মজা যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে ,তাহলে বেঁচে থাকার ইচ্ছে কি করে থাকে ? পৃথিবীটাই তো মূল্যহীন হয়ে পরে।
তাঁদের সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটিয়ে ,গল্প করে অন্য একটা পৃথিবীর খোঁজ পাওয়া যায়।

স্মৃতির কোলাজে  ঘুনে ধরেনা।অতীতের  অঙ্ক মেলেনা। ভুলে ভরা
উপলদ্ধির ওড়না যখন গেলো খুলে, জীবনের সায়াহ্নে সব ওলোট পালোট , মলাট পাল্টাতে পাল্টাতে ছিন্ন ভিন্ন। আর পাল্টানো দায়।

ওখানে  পেলাম কল্যাণী দত্ত দাস , রোজি ,আরো অনেক কেই । একজন চীনা মহিলাও আছেন। কেউ কেউ বেশ অসুস্থ , তবুও যখন আমি বললাম গান তো গাইতে হবে।  কে কে শুরু করবে? একজন যিনি চুপ করেই ছিলেন চেহারাতেই সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছাপ। সরু কালো পারের সাদা শাড়ি ,চোখে কালো ফ্রেমের চশমা , ঠিক মাতৃরূপী তাঁকেই চেপে ধরলাম। বললেন , সব ভুলে গেছিতো।  আমি বলি, তুমি শুরু করতো, তারপর দেখা যাবে---
উনি শুরু করলেন, ভারত আমার ভারত বর্ষ।
..
ভারত আমার ভারতবর্ষ ,স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো ,তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম,ধন্য হয়েছি ধন্য গো।ভারত আমার ভারতবর্ষ ,স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো ,তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম,ধন্য হয়েছি ধন্য গো।
কৃতী ধরণী তুষার শৃঙ্গে সবুজ সাজানো তোমার দেশ।
 
তোমার উপমা তুমিই তো  মা , তোমার রূপের নাহিতো শেষ। 

তোমার সাহোন গহন তমসা সহসা ,নেমে আসে যদি আকাশ তোর।
হাতে হাত রেখে মিলি একসাথে ,আমরা আনিব নতুন ভোর।

ভারত আমার ভারতবর্ষ ,স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো ,তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম,ধন্য হয়েছি ধন্য গো।ভারত আমার ভারতবর্ষ ,স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো ,তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম,ধন্য হয়েছি ধন্য গো।
ভারত শক্তি দায়িনী ,দাও মা শক্তি  ,ঘুচাও দীনতা  ভীরু আবেশ।
আঁধার রজনী ভয় কী জননী ,আমরা বাঁচাবো এ মহাদেশ। 

রবীন্দ্রনাথ ,বিবেকানন্দ ,বীর সুভাষ এর  মহান দেশ ,নাহিতো ভাবনা ,করিনা চিন্তা, হৃদয়ে নাহিতো ভয়ের লেশ।
ভারত আমার ভারতবর্ষ ,স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো ,তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম,ধন্য হয়েছি ধন্য গো।ভারত আমার ভারতবর্ষ ,স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো ,তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম,ধন্য হয়েছি ধন্য গো।
ধন্য হয়েছি ধন্য গো। ধন্য হয়েছি ধন্য গো। 

পুরোটা  শেষ করলেন--- আমি রুদ্ধশ্বাসে কোথাও হারিয়ে যাচ্ছিলাম।  
গলার কাছে একটা দলা অনুভব করছিলাম। তাকিয়ে ছিলাম ওনার দিকেই একদৃষ্টিতে। উনি গান শেষ করে মুচকি হাসলে আমার সম্বিৎ ফিরে  এলো , তালিয়া তালিয়া বলে চেঁচিয়ে উঠলাম উচ্ছাসে-- সবাই তখন করতালিতে ভরিয়ে দিলো। আমি অজান্তেই বলে ফেললাম ,"এখনো মনে হয় তোমার এই দেশে জন্মে ধন্য হয়েছো?"
উনি আমাকে স্তব্ধ করে দিলেন একটি কথা বলে ," কেন নয়? এখানেই তো তোমার মতো মেয়েরা আছে , আর সেই জন্যইতো এখনো বাঁচি। "
চোখের কোন ভোরে এলো ,নিজেকে আড়াল করে বললাম-- এরপর কে গাইবে?
অগত্যা আমি ধরলাম একটি গান আর সবাই একসাথে গাইবে কথা দিলো, আর গাইলো , "পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়ে ,সে যে চোখের দেখা প্রাণের কথা সে কী ভোলা যায় ?............"

জীবনের এই কয় ঘন্টার প্রাপ্তি  অনেক নাপাওয়াকে কর্পূরের মতো উঠিয়ে দিলো।

রোজির  বিদেশী মা বাবা  এক  এংলো  পরিবারকে দত্তক দিয়েছিলেন।  সেখানেই সে বেড়ে ওঠে কন্যা হয়ে নয়, পরিচারিকা হয়ে। কথাবার্তাতে  ইংরেজিতেই স্বচ্ছন্দ। কারুর সাথে মিশতে দেয়া হতো না।
স্কুল যাওয়া ও মানা। দীর্ঘ এতগুলো বছর কাটানোর পর একটি দুর্ঘটনাতে কোমড়ের হাড় ভেঙে যাওয়াতে, সেই পরিবার রোজি কে হাসপাতালে পাঠিয়ে দায়মুক্ত হন। ওনার কোমরে এখনো প্লেট বসানো আছে। কিন্তু এতো হাসিখুশি আর ফিরে আসার সময় যখন বললো "come again" আমি বললাম "sure" বললে  , "May be you will come, but who knows by that time i might leave this world.".

আরো পেলাম চীন এর মহিলা।  তিনি হিন্দিতেই কথা বলেন, খুব মিষ্টি। প্রথমেই বললো চীনা চীনা , আর আমি বুঝলাম নাম বুঝি টিনা।  তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বিশেষ তথ্য না থাকলেও তিনি ফুর্তিতে থাকেন-হাসি আর নাচ নিয়ে। কলকাতা শহরেই তাঁর পরিবারের সাথে থাকতেন এবং কাজকর্ম করতেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়াতে তাদের কমিউনিটি ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন, কিন্তু সুস্থ হবার পর সেই কমিউনিটি ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন আর তখন থেকেই ওনার আস্তানা এইখানে। উনি আমাকে ওনার বাড়ির বিবরণ  দিচ্ছিলেন। কোথায় রুম, কোথায় বারান্দা, সেখান থেকে কি করে আরেকটা রুম এতে যাওয়া যায়,,ইত্যাদি।

বাকশূন্যহীন হয়েও অবিরাম হেসে হেসে আনন্দে আছেন একজন। ছবি তুলে ওনাকে দেখলেই উনি হেসে গড়িয়ে আরো তুলতে অনুরোধ করেন আর সেগুলো দেখে কি ফুর্তি। কেক আরেকটুরো দিতে গেলে ,বড়ো বড়ো  চোখ করে একগাল হেসে নিলেন।

কল্যাণী দত্ত /দাস এর চোখের অদ্ভুত জ্যোতি তে আমি মোহিত হয়ে বললাম , "খুব দুষ্টু  ছিলে , বোঝা যাচ্ছে।"
  মিটি মিটি হেসেই যাচ্ছে।  আমি বলি- "কয়টা প্রেম করেছিলে বলতো ? বলতে হবে- আড়াল করলে চলবেনা"। উনি বললেন , "নাগো, দাদা ভীষণ স্ট্রিক্ট ছিল , কড়া নজর আর পাহাড়াতে রাখতো ।  কোথাও একা একা ছাড়তোনা ,জানো ? তারপর তো বিয়ে হলো"।  বলি -"তা এখানেতো আনন্দেই আছো , দুষ্টামি  করছোনাতো" ?
বললেন সবাই খুব ভালো।  মাঝে মাঝে আমি একটু বেশি বিরক্ত করে ফেলি , রাতের বেলা গৌরীকে বলি বাথরুম যাবো।  ও কিন্তু কিচ্ছুটি বলেন। অনেক যত্ন করে আমার সাথে যায়। 

দুঃখের কথা হলো। ওনাকে যখন বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলাম , কি সুন্দর করে জানালেন, মেয়ে কাছেই থাকে।  জানো , আমার নাতনি এবার মাধ্যমিক দেবে। ...অথচ ,পনেরো মিনিটের দূরত্বে  বাড়ি ,ওনার মেয়েকে যখন তার  মায়ের ছবি দেখিয়ে  জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সেই মেয়ে অস্বীকার করেছিল ,এমন কাউকে সে চেনেনা বলেছিল । 
কঠোর সত্যি  হলো , ওনার স্বামী ভালো কাজ করতেন , উনিও স্বামী বিয়োগের পর একটা স্কুলের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন।  ছেলে কিছুটা বখাটে, সুরাসক্ত ।  বাড়ি বিক্রি করে যেই  টাকা পাওয়া গেছিলো তাতে ভালো ভাবেই স্বাচ্ছন্দেই চলে যাওয়া কথা ছিল। কিন্তু ভাড়া বাড়িতেও ভাড়া না দিতে পাড়ার দরুন  গৃহহারা হয়ে পথে , আর তারপর এইখানে সবার সাথে।
অনেক খোঁজা খুঁজির পর ছেলের সন্ধান পাওয়া গেলে মায়ের  বেশ মোট পেনশনের  কথা জানতে পেরে ওনার  অফিসিয়াল কাজ গুলো করতে  দ্বায়িত্ব নিতে রাজি  হয় সে ।  কিন্তু কিছুদিন আগেই অপঘাতে ছেলে মারা যায়। এইবার মেয়েকে এই দ্বায়িত্ব দেবার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন হোম কর্তৃপক্ষই। ছয়খানা উকিলের চিঠি পাবার পর তার সাড়া পাওয়া গেছে , শম্বুক গতিতে কবে এর সুরাহা হবে, অজানা।  
রাজস্থানের আজমের নিবাসী এক গোঁড়া হিন্দু পরিবারের জন্ম হওয়া আরেকজনকে পা ভাঙা ,চলৎশক্তিহীন অবস্থাতে লোরেটোর একজন কর্মী রাস্তার ধারে ওনাকে খুঁজে পায় দেড়মাস অধিককাল হাসপাতালে তার পায়ের ফিমার অস্থি জোড়া লাগানো হয়, চোখের অপারেশন ও হয়।  তারপর থেকেই এখানে আছেন।জানা যায় স্বচ্ছল পরিবারের গৃহবধূ ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তার আত্মীয় কুটুম্ব রা তাকে প্রাপ্য সম্পতি থেকে বঞ্চিত করেন।  ওনার সন্তান সন্ততির সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। 
সম্পর্কের চাইতে বড়োতো  তার দায়বদ্ধতা ।।ভালোবাসার চাইতে বড়োতো  সততা।
ক্ষত কে পরিত্যাক্ত করার  দক্ষতায় পারদর্শিনী হয়ে উঠতে হয়েছে এঁনাদের ।
ক্ষত তে আলিঙ্গনের স্পর্শ দিয়ে মমত্ব দিয়ে  রাখেন  জড়িয়ে।  আধপোড়া সুখ আর বিষাদময় অতীতের আর্তনাদ ছাঁকনি দিয়ে ছাকেন নিত্য।মরমের ঘরে ঝুলছে তালা,ক্ষত কে নিয়ে  যাপন।নি:শব্দের ভেতরে শব্দ খেলা করে অবিরাম। ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Sent on 20th Sept 2017








CHILEKOTHAeMag: কবিতা / দিকভ্রান্ত / প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল

CHILEKOTHAeMag: কবিতা / দিকভ্রান্ত / প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল:



নিশ্ছিদ্র সৌকর্ষে ভাবনার সাগরে রাখি
পাছে পারিজাত যায় হারিয়ে ।
নীল নীলিমায় জোছনার ওড়না পরাই তারাদের ...
আগুনে নয় , দহনে নয় ,
বিরহে ,ভালোবেসে
ডুবুরি হয়ে মুক্তো করে রাখি যতনে।



ভাবনার কোলাজ
দেয়ালে লটকানো ;
তুমি আসো  যদি
লাল দাগ কাটি।
বিবাগী হিয়া
দীর্ঘশ্বাসে ভরপুর।



আহত হৃদয়
লোহিতকণিকাদের সমাধি,
মন তবুও মশাল জ্বালায় ।
দিকভ্রান্ত।
যেন সুগন্ধী ধুপ জ্বলছে
ধোঁয়া ছড়ায় রঙ আর সহস্র রঙের কথামালা।



অস্তিত্বের শেকড়ে টান;
ফিরে পাবার দারুণ ক্ষুধা
পথটা বাতলে দিলেই সাঁ করে চলে যাই।
অঙ্গীকার বদ্ধ সোহাগে
ছলনার গোপন প্রলেপ।
তোমায় খুঁজতে গিয়ে পথ হারাই।

CHILEKOTHAeMag: কবিতা / জীবনবোধ/ প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল

CHILEKOTHAeMag: কবিতা / জীবনবোধ/ প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল:


তোমায় নিয়ে কি করি ভাবতে ভাবতে
চড়া পেড়িয়ে পা ভিজিয়ে ফেলি
তোমায় কোথায় দেই  ঠাঁই ভাবতে ভাবতে
সাগরের অতলে ডুবতে থাকি ;
তোমার ডাকের অসীমতাকে
অগ্রাহ্য করতে করতেই বার বার সারা দিয়ে ফেলি।
ঘোর সঙ্কটে , চরম সঙ্কোচে
না বলতে বলতেই হ্যাঁ বলে ফেলি।
এক নির্মম অশান্তিতে সংঘর্ষ  চলে অহরহ , 
যুদ্ধ  অনবরত।
পুরুষালি ধৃষ্টতা অজানা নয়।
সমাজের ভয়ভীতিতে উদাসীন আমি 
জড়িয়ে ধরিনা অযথা তবুও ,
ভাসিনা মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ভেলায়।
তত্ত্বে নয় সত্ত্বে থাকি 
অন্তরপল্লীতে ঘর বাঁধি  ;
মেঘের আঁচলে ভাসাই সোহাগ,
মরমে মর্মে অনুক্ষণ জড়িয়ে রাখি জীবনবোধ।

CHILEKOTHAeMag: বর্ষাকালীন চুম্বন - প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল

CHILEKOTHAeMag: বর্ষাকালীন চুম্বন - প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল:

পরকীয়াতে মগ্ন মধ্যবয়স্ক প্রেমিক প্রেমিকার বর্ষাকালীন চুম্বন
মাঝপথে আটকে গেল
সুবিধে-অসুবিধে বোধে বন্দ

ঝড়ের আভাসে নিষেধের নামাবলী;
হুতাশে  মন উচাটন-



এক স্তব্ধ উপলব্ধি,
গোপন খামে সাজানো অক্ষর কবিতা হয়ে ওঠে।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের  পাতারা দোল খায়।
সেই বৃদ্ধ বৃক্ষ
সুমধুর, দুর্বোধ্য, গড়ন, পতন, আলিঙ্গনের, চুম্বনের, প্রেম অপ্রেমের সাক্ষী।


ঘরেতে আগল, হৃদয়ে শিকল , কুটিল জটিল হাসি
জ্যোৎস্না বিধ্বস্ত জীবন।
জীবন্ত লাশ,ম্লান মুখে দীর্ঘকায় স্বপ্ন;

যেদিন তাদের শান্ত অনুভুতি, উপলব্ধির ঋজুতায়
প্রেমহীন বুকের  শিখা
থরথর কাঁপা থেকে ত্রাস হীন স্থির।
আঙুলে আঙুলে কোলাকুলিতে
হৃদয় সিঁচে প্রেমের, শ্রদ্ধার, বিশ্বাসের
ডানায় ভেসে
অতিক্রম করলো সেই জড়তা,
পরকীয়া প্রাণ পেলো ,


বোটানিক্যাল গার্ডেনের
পাতারা দোল খেলো ।

CHILEKOTHAeMag: কবিতা / ভাবনার ছানাপোনারা ভেতরপাড়াতে তোলপাড় / প্...

CHILEKOTHAeMag: কবিতা / ভাবনার ছানাপোনারা ভেতরপাড়াতে তোলপাড় / প্...:

 


অকারণ, ধুঁকপুঁক 
অবিরাম ।
এক  জীবনে সবাইরে যায় নাকি চেনা ?
প্রশ্রয় ! প্রেমের প্রশ্রয়। 

উষ্ণতার দুটো নগ্ন দেহ থাকে মগ্ন।
মাঝে মাঝেই সমর্পনের ইচ্ছে জাগে।
লন্ডভন্ড এক লহমায়
সমস্ত লজ্জা উবে যায় কর্পূরের মত

নিরাভরণ দেহের উত্তাপে বিলীন হয়।
দুর্বল মুহূর্তে একান্তে অভিলাষ,
নিরালায় দুঃখ বিলাস
স্মৃতিমেদুর হয় শিহরণ ;


সেই জং ধরা টিনের ট্রাঙ্কে এখনো
সব কামনা বাসনা  বন্দী।
প্রেমের বন্যাতে অকপটে দ্বিধাহীন
স্বীকারোক্তি ?


 নাভিশ্বাসে
 বাথটাবে
 বর্ণিল প্রজাপতির কোমল ডানাতে
জোনাকির অল্পনাতে
ঝিলের মাছের নৃত্যে
গন্ধরাজের সুবাসে
কৃষ্ণচূড়ার লালিমাতে
আরো অনেক কিছুতেই
আমি ও  খুঁজছি তোমায়।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।
উম্মুক্ত পা এর পাতাতে স্পর্শে
নীল খাতার পাতায় 
ইতিউতি পড়ে থাকা চুম্বনে 
আকাঙ্ক্ষার চরমে -
গগনচুম্বী কামনারা  চাঙ্গা
পথটা পিচ্ছিল
নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার দায়বদ্ধতা।
অনেক প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ করা চরম অভিলাষ।

CHILEKOTHAeMag: কবিতা /মা - আসেন মর্তে ? / প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল

CHILEKOTHAeMag: কবিতা /মা - আসেন মর্তে ? / প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল:

শরৎ বলতে  শিউলি আর নতুন জামার গন্ধ ,
কাশ ফুলের  নাচনে  দিশেহারা ;
সোনালী রোদে চান করা সকাল
তুলো দিয়ে সাজানো মেঘের ভেলা ,
উধাও  হলো সব কোথা ;
মনের জ্বরের বিকার শুধুই ।


পথে যে এতো জনস্রোত , মা এর আগমনে
নেংটো শিশুর ক্ষুধার  চিৎকার তবুও ঝুপড়িতে ।
এতো  যে আনন্দমুখর শারদ উৎসব
তার মাঝেও  অন্নহীন সন্তানের মুখ।
এতো যে আলোর রোশনাই ,
আঁধার তবু  ছড়ানো ছিটানো ,আলো কই!


মাটির মায়ের কিলো কিলো সোনার  শাড়ী
পথেই বসে বৃদ্ধা মা জীর্ণ কাপড়ে হাতে ভিক্ষার ঝুলি।
মৃন্ময়ী মা সেজেছেন স্বর্ণালংকারে
পথের কোণে বালিকাটি একটু খাবারের খোঁজে !
পুজো এলেই আমার বুক জুড়ে  বিষন্নতা
ব্যাথাতে কুঁকড়ে যাই অযথা ।


প্রতিমা গড়ার শিল্পী কেই  করি শ্রদ্ধা 
শিল্পী মনের বহর দেখে ছেয়ে যায় মুগ্ধতা।
দেবীমহিমার কুটোটি আমাকে ছোঁয়েনা।
সোনালী রোদে
শুভ্র মেঘের অবয়বে
কী যেন খুঁজে বেড়াই।


মা এর পরিবার ,বাহন ,ঐশ্বর্য ,
শাড়ি, গয়নার বাহার ,
মন্ত্র ,অঞ্জলির ঘটা ,
ধুনোর ধোঁয়া , ফুল বেলপাতা শিকে তুলে
প্যান্ডেল এর কারুকাজ দেখি চরম বিস্ময়ে।
মা কী সত্যি এলেন এই মর্তে ?

Friday, October 13, 2017

নতুন অধ্যায়


নতুন অধ্যায়
এক ঝুড়ি বিষাদ নিয়ে বসলে  এসে গা এলিয়ে ,
যেন হৃদয় জুড়ে  খাচ্ছে  উই
এতো মেঘাচ্ছন্ন  মুখ বড্ডো বিরক্তিকর
আমার শাঁকচুন্নি হাসির আওয়াজে
আরো বিরক্তি ছেয়ে গেলো যেন।

বলি, হলোটা  কী ?
ক্ষতবিক্ষত? 
গড়ে দিলে কে ?  কি ভাবে?
বিষাদের, বিরক্তির ,অভিমানের ,দুঃখের আল্পনা কখনো  হয় মনোরম।
ভালোবাসার মায়াপাশ কাটাও ;
ভুলচুকের কাহিনীগুলো বিসর্জন দেয়া যায়না?
ক্যারেক্টার এনালিসিস,মন এনালিসিস , মস্তিষ্কের চিন্তার এনালিসিস
ঊফফ চরম অসহ্য
উত্তাল সুনামি।
ধ্যাৎ।

ক্ষত কে পরিত্যাক্ত করো  দক্ষতায়।
মনের  বিষাক্ত অসুখ সোজাসাপটা ভাবনার কোলাকুলিতে ভরিয়ে
ফোঁটাও  পারিজাত।
কণামাত্র কোঁদল নয়

চোখে  জ্বালা উঠুক ,বালিশ না ভেজে।

নিশ্চুপ থেকেই  উঠে দাঁড়ালে,
অপছন্দের হলো আমার বাচালতা। 
স্বপনের ঝড়,ছুঁড়ে ছেনে বিধস্ত তুমি ;
যেন পথটা গড়ে দিলে,
বাতলে দিলেই সা করে চলে যাবে, নতুন অধ্যায়ে ।

 (প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল )
( চিলেকোঠা ,অক্টোবর ২০১৭)

Bhalo thakar bikalpo nei, kharap tai thakte nei.........

জীবন সুধা করে পান , আনন্দে গ্রহণ করি সব দান ,
মিছি মিছি কেন আহা দুখকে অপবাদ দিয়ে কারো অপমান ?
সুখ পাখি ডানা ঝাপটে সদাই দায়ে জানান -- জীবনের দাম !
কষ্ট কে ঠেলবে যত দূরে , সে আসবে ধেয়ে ...
তাকেও দিয়ে সম্মান ,জীবনকে কে করি চলো আনন্দের বাগান


অনেক অনেক কথা

অনেক অনেক কথা
লিখব বলে এলাম চলে -অনেক অনেক কথা ...তোময়ে পেয়ে ভুলে গেলাম যত মনের ব্যথা ........

তুমি শুধু

তুমি শুধু
তুমি শুধু থেকো মোর মনের ঈশান কোণে.....সব কিছু তুচ্ছ করে ভালো বাসবো জীবনকে ...এলোমেলো জীবন আমি সাজবো প্রাণ ভরে ...বাঁচব আবার নতুন করে ,নতুন উদ্দমে..

Followers

Blog Archive

Powered By Blogger