Saturday, November 26, 2016

বাতাসে রাজনীতি


যে আসবে বলেছিলো , এলোনা। আসবেনা।
রেণু মেখে পাঠালো কি তোকে তিতলি ?
সংগীতের সদাই আমি স্থায়ী তে।
অস্থায়ী সে বার বার !
আমি মুখরা ,সে  অন্তরাতে।
অকারণে পথ চাওয়া।
চাপা আগুন অন্তরালে।
আমলকী  টুপ্ টাপ পরে টিনের চালে
তাতেই পায়ের শব্দ অগোছালো।
 ঢ্যাঁড়স  গাছে ফুল ,লাউ আর কুমড়ো গাছেও।
হলুদ আর কামলাতে মিশে থাকে সুপ্ত প্রেম।
পীচফল এতে ভরা গাছ
সেই রক্তিম দানার খাঁজে  খাঁজে
রক্তাত্ব হৃদয়ের  বাসা। 
আঁখের ঝোপের আড়ালে শুয়ে থাকে বাসনা
বাতায়নের সব সৌরভ ম্রিয়মান ,
শরীরের ঘ্রানে  আবিষ্ট।
(২৬ নভেম্বর ২০১৬।)

Friday, November 25, 2016

অযুত লক্ষ নিযুত কোটি

 আমার অযুত লক্ষ নিযুত কোটি স্বপ্নের  সমাধিতে
কিছু অপূর্ব প্রজাপতির সমাবেশ;
সারাদিন কেটে যায়  তাদের বর্ণময় খেলাতে ,
মনোরম স্নিগ্ধ ওদের ভেসে বেড়ানো
ডানা তে রূপের কারুকাজের সম্ভার;

স্বপ্নগুলোই কী ভেসে বেড়ায় রঙিন হয়ে ?
প্রাজ্ঞজন কী বলবে ?বিজ্ঞজন?
আমার মস্তিষ্কের ডোপামিনের হেরফের ?
ডানাতে স্বপ্নের অলীক বাসনা নিয়ে ওরা চারপাশ করছে রঙিন ।
তিতলি সব উচ্চ্বাসে ভরপুর ;
স্তব্ধতার মাঝেও নূপুরের রিনিঝিনি শুনি ,
আমার উদাসীনতা হয় উধাও 
মনে মনে নতুন স্বপ্নের জাল বুনি ,
প্রহর গুনি।
আবেগ আর বিবেক সৎ ভাই
প্রজাপতি ছুঁয়ে সাঁকো পেরোতে চায়।











Wednesday, November 23, 2016

একটা বুনো প্রেম (২৩ নভেম্বর ২০১৬)


একটা বুনো প্রেম
আদিম মাদকাতা সিক্ত ;
অদম্য প্রেমে দেহের নির্যাস ,
অস্থিরমতি নাগ্নতা তে  রক্তাক্ত ওষ্ঠ ,
কোণঠাসা করা উন্মাদ নিঃশ্বাস,
শরীর ও মনের বুনটে অবিছেদ্দ   দুই দেহ
দুজনাতে নিমগ্ন ।

আত্মা আর সত্তা অবিনস্ত ।
রুদ্ধ শ্বাস; এতেও বেবাক উল্লাশ;
রঙিন জল হয়রাণ।
আলিঙ্গনের উত্তাপের আয়ু
শীতল তরল থেকেও  কী  দীর্ঘমেয়াদি?
যৌন গন্ধে আচ্ছন্ন কোঠা
আচ্ছন্ন আলোতে স্বপ্নাতুর প্রাণ ;

প্রশ্ন একটাই ,
এলোমেলো দুটো দেহ সত্যি কি অবিচ্ছেদ্য ?

Saturday, November 19, 2016

বিছুটি

এক পশলা বৃষ্টি ভিজতে  গিয়ে
চোখে চোখ পড়েছিল অজান্তেই ;
মেঘ যেদিন করছিলো খেলা
সিঁড়ি দিয়ে  নাবছিলে  ভোরবেলা।

এক আকাশ ঝলসানো  রোদ্দুরে দেখা  হঠাৎ আবার,
আচমকা ,শুকোতে দেয়া শাড়ির মাঝে।
কাঠফাটা রোদে চৌরঙ্গী তে।
কেউ কাউকে  না দেখার খেলা চললো বেশ কিছু দিন।

তারপর একদিন লিফ্ট এর ছোট্ট বাক্সে শুধু দুজন ;
ভেঙে গেলো মৌনতা।
কিছুটাতো সৌজ্যন্যতা ,
তারপর আরো কাছাকাছি ,পাশা পাশি।


নন্দন, লেক,নলবন, পার্ক, কিছু সিঁড়ি ,কিছু বেঞ্চি ;
ফুচকা,ফুটপাথের চা,বাদাম  আর চীনে কেঁচোর তৃপ্তি,
পেঁয়াজি ,বেগুনী,ডেভিলের আমেজ পেরিয়ে
মাতলা মন উন্মাদ শরীরী মিলনে।

দিনক্ষণ ঠিক করে সমাজের চোখ  রাঙানি এড়াতে
চার দেয়ালের স্বাক্ষর রাখলো বিবাগী মন।

দ্রুত পেরিয়ে গেলো পথ অনেকক্ষণ ,
বুঝতে বুঝতে হারিয়ে গেলো হিসেবে নিকেশ।

ছল করার দিন হয় শুরু;
লোকসানে যোগফল মেলাতে 
বিপন্নতার দিন শুরু।ভাঙ্গনের দিন শুরু। 
নিষ্ঠা, সাততা, শৃঙ্খলা,  বিশ্বাসের , তামাশার দিন শুরু ।

নন্দনে   প্রাক্তন এর লাইন ,লেক  দীঘি হয়ে যায় ,
ফুচকাতে মিষ্টি জল ও দই ,সিঁড়ি শুধু ওঠা আর নামা ,
বেঞ্চে শুকনো পাতা, কাঠবেড়ালি আর পাখির ছড়াছড়ি।
প্রেম গড়াগড়ি দিতে দিতে মুচকি হাসে। বিছুটি পাতা দূর থেকে হাসে।
 
(প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল )
© Paramita Prajna. All Rights Reserved. Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited

Friday, November 18, 2016

স্মশানের গন্ধ

স্মশানের গন্ধ পাই
সারা জীবনের  পাঁজা পাঁজা একাকীত্ব ,
সকল অভিমানের ঝুড়ি
Bhakra Nagal
মেঘের গুপ্তচরের কাছে ছিল গচ্ছিত ; 
লুটে নিলো  চাঁদের গাছ তলাতে বসে বসে  চড়কা কাটা  বুড়ী।
স্মশানের গন্ধ পাই তবুও।

মোহভঙ্গ দুর্নিবার ;ব্যাপ্তি ছাড়িয়ে  প্রেম।
কখনো হারাই সবুজের সুরে ,
কখনো বা নীলের ছন্দে ।
চলি আঁকাবাঁকা পথের সন্ধানে।
স্মশানের  ঘ্রাণ  তবুও;

মস্তিষ্কের নিউরনে  তীব্র  দ্রুততা  ,
মায়াজালের লুটেরা ডাকাত করে লন্ডভন্ড ;
নিবিড় ভাবে ছুঁয়ে থাকি
রক্তক্ষরণ এর নদীতে ভাসা স্বপ্নদের।
স্মশানের গন্ধ তবুও অহরহ।

(প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল )
।© Paramita Prajna. All Rights Reserved. Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited

Thursday, November 17, 2016

ক্লান্ত অকারণ

মৌনতা বড্ডো কঠিন,
চুরমার করে দিতে পারে সব ,
বাউন্ডুলে মন হয়ে যেতে পারে বাউল নিমেষে,
রাজকোষ থেকে রাজাকে ভাসিয়ে দিতে পারে এক লাহোমাতে।

আমি জানিনা কিছুই,
বুঝিনা কিছুই,
শুধুই ভাসি অলীক স্বপ্নে;
ঘুরে বেড়াই, উড়ে বেড়াই,কুড়িয়ে রাখি সব  যত্নে।

উড়ে যাওয়া ফুড়ুৎ করে,
সেট যাওয়া যেতেই পারে;
কবিতা ঝরুক টুপটাপ,
মনটা হোক খোলা আকাশ।

টুপটাপ পরে স্মৃতি গুলো,
কুড়িয়ে  যাই অবিরাম,  অবিরত।
ঝড়ের বেগে ঝরে পড়ে  বিক্ষিপ্ত, বিপন্ন  দ্বিধা দ্বন্দ ;
ক্লান্ত হয়ে ভেজে মন অকারণ।
(প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল )

রাখি লুকিয়ে নিজেকে


নীলাভ দুটো হাত মাঝে সাঝেই আজকাল করতে চায় আলিঙ্গন
বুঝি জড়িয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে মোর সুদূরে।
কোন অজানা সংকট হানা দেয় ,
কিন্তু মৃত্যু ভয় তো ছিলনা আমার কখনো।
তাহলে কি বয়েসের কোলে হামাগুড়ি দিতে দিতে
নির্ভিক আমি বিচলিত?
হাতছানিকে পাচ্ছি ভয় ?
মোহ মায়া  সবই তো পেরেছি দিতে বিসর্জন।
দুটি মানুষ আমাকে ছেয়ে থাকে অনবরত।
আমি সব শুনি ,আমি সব বলি , তবুও তোলপাড় অকারণ।
মৃত্যু হাতছানি দেয় অহরহ ; সময় এলো বুঝি আমারও।
আধার হয়ে আসে চারপাশ , হয় আচ্ছন্ন। 


নিজের কাছে নিজেকে রাখি লুকিয়ে। (প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল ) ১৬ই অক্টোবর ২০১৬© Paramita Prajna. All Rights Reserved. Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited

Wednesday, November 16, 2016

আলিঙ্গনের লিপ্সা


কখনো আলিঙ্গনের   লিপ্সা
জীবনের দাসত্বকে হারমানায় ;

কখনো মনের উপবনে প্রজাপতি গুলো
নিঃশব্দে রঙিন খেলাতে মত্ত্ব ,
তবুও কেঁপে ওঠে চেতন অচেতন। 

ম্যাজিকে আমি বিভ্রান্ত নই
কুলুঙ্গিতে জীবন ভ্রমরা
পেস্ট কন্ট্রোল অসমর্থ।

পায়ে পায়ে পৌঁছে যাই সেই অজানা পথে ,
সবুজ আর নীল সুর বাঁধে একসাথে।
(প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল )
© Paramita Prajna. All Rights Reserved. Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited

Tuesday, November 15, 2016

নাজেহাল

সমস্যা গুলো ধেয়ে আসে প্রবল বেগে
একটাকে সরাতে চাইলে অন্যটা গতিবেগ বাড়িয়ে ফনা  তোলে
প্রত্যেকটাই দত্যের মতো চপেটাঘাত করে অবিরত
ক্লান্ত হবার
দেয়না সময়

ঘুমে জাগরণে নিশিদিন
চলে তান্ডব তাদের 
বেপরোয়া আমি ড়ে  যাই ;
আনাচে কানাচে লুকোনো দায় ,

ছোবল বড্ডো ভয়াবহ

পালাতে শিখিনি
তাই জাপ্টে ধরি 

মনের ভেতর চলে ক্যারাটে কুমফু ,
নিধন করেই চলি কে একে একা  একাই ....

Wednesday, November 2, 2016

জ্বর

অনুভূতির জ্বর,অসহিষ্ণুতার জ্বর ,
কেঁপে কেঁপে ওঠে নিরন্তর ;
জানলা দিয়ে হাত বাড়াই
বৃষ্টির ছাট কে ছুঁয়ে থাকি
বিন্দু বিন্দু  জলের জলপট্টি।

গাছেদের জ্বর হয় ?
মেঘের জ্বর ,আকাশের জ্বর ,
পাহাড়ের ? নদীর ?
কেউ কখনো বলেনিতো।
বৃষ্টির জলপট্টি পায় কী ওরা ?

আমার মনের জ্বরের খবর
না, কেউ রাখেনি
কেউ না , কেউ না।
পুড়ে পুড়ে ছাড়খার হয় অন্দরমহল।
না কেউ জানেনি ,কেউ বোঝেনি।

Bhalo thakar bikalpo nei, kharap tai thakte nei.........

জীবন সুধা করে পান , আনন্দে গ্রহণ করি সব দান ,
মিছি মিছি কেন আহা দুখকে অপবাদ দিয়ে কারো অপমান ?
সুখ পাখি ডানা ঝাপটে সদাই দায়ে জানান -- জীবনের দাম !
কষ্ট কে ঠেলবে যত দূরে , সে আসবে ধেয়ে ...
তাকেও দিয়ে সম্মান ,জীবনকে কে করি চলো আনন্দের বাগান


অনেক অনেক কথা

অনেক অনেক কথা
লিখব বলে এলাম চলে -অনেক অনেক কথা ...তোময়ে পেয়ে ভুলে গেলাম যত মনের ব্যথা ........

তুমি শুধু

তুমি শুধু
তুমি শুধু থেকো মোর মনের ঈশান কোণে.....সব কিছু তুচ্ছ করে ভালো বাসবো জীবনকে ...এলোমেলো জীবন আমি সাজবো প্রাণ ভরে ...বাঁচব আবার নতুন করে ,নতুন উদ্দমে..

Followers

Blog Archive

Powered By Blogger